184) (গল্প – 1) আসামের জঙ্গলে (IN THE FOREST OF ASSAM)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

184) (গল্প – 1) আসামের জঙ্গলে (IN THE FOREST OF ASSAM)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

🌟 ভারতের আসামে বেড়াতে গিয়ে গুলি করে বাঘও মারলাম মানুষও খুন করলাম।

🌟 অনেক দিন যাবৎ ভাবছিলাম আসাম থেকে বেড়িয়ে আসবো।

কেননা , ছোটবেলা থেকেই শুনতাম , আসামের পরিবেশ নাকি অনেকটা কাশ্মীরের মতোই।

তাই আব্বা – আম্মাকে বলে পাসপোর্ট আর ভিসা নিয়ে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি বর্ডার দিয়ে প্রবেশ করলাম ভারতের আসামে।

সেখান থেকে বাসে করে চলে এলাম আসামের প্রাদেশিক রাজধানী গৌহাটিতে।

সেখানে গিয়ে একটা হোটেলে উঠলাম। হোটেলের তিন তলার পাশের রুমে আবার কয়েকজন বাঙ্গালি উঠেছে। ওরা আবার আমার মতো বাংলাদেশি না – বরং কলকাতা আর ত্রিপুরার কয়েকজন।

ওরা তিন জন মহিলা আর চারজন পুরুষ।

ওদের একজন ত্রিপুরার আর বাকি ছয়জন কলকাতার।

একজন মহিলার আবার বয়স পয়ষট্টির উপরে – কিন্তু ওর সন্তানের বয়সী ছেলে ও মেয়েগুলো দিদি ডাকে। তাই আমিও দিদি ডাকতে লাগলাম।

🌟 রাতে খাবার টেবিলে ওদের সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়ার সময় ওরা কয়েকটা উপন্যাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করলো। বঙ্কিমচন্দ্রের , “আনন্দমঠ” , রবীন্দ্রনাথের ,”গোরা” আর শরৎচন্দ্রের,”পথের দাবী” উপন্যাস নিয়ে শুরু করলো তুমুল তর্ক।

এক পর্যায়ে ওদের তর্কের এমন অবস্থা হলো যে , আমরা যেন ব্রিটিশ আমলে বসে আছি আর উপন্যাসের ঘটনাগুলো যেন কলকাতায় ঘটছে – এটাই ওরা বুঝাতে চাচ্ছে।

আমি এক পর্যায়ে প্রায় বিরক্ত হয়েই বললাম , “ঐ উপন্যাসগুলো রচিত হয়েছে ব্রিটিশ আমলের ঘটনার প্রেক্ষিতে। এখন আমরা সেগুলোকে নিয়ে আলোচনা করতে পারি , কিন্তু বাস্তবে তো আর পরিণত করতে পারি না।”

আমার এই কথা শুনে ওদের মধ্য থেকে সবচেয়ে কম বয়সী – কিন্তু আমার বয়সী মেয়েটা বলল ,”এই যে , আপনাদের বাংলাদেশটা হচ্ছে আমাদের। আমরা একদিন বাংলাদেশকে আমাদের দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করবো।”

আমি বললাম ,”ভারত বিভক্ত হয়েছে 1947 সালে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো 1971 সালে। তাই এখন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্তির কী দরকার ?”

দিদিটা মানে বয়স্ক মহিলাটা বলল ,”সেটাই আমাদের ভুল হয়েছে। 1971 সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে যদি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশকে সিকিম আর হায়দ্রাবাদের মতো ভারতের অন্তর্ভুক্ত করতো , তবে বাংলাদেশ আর ভারতের এতো সমস্যা হতো না।”

আমি বললাম , “কেন হতোনা ?”

দিদি বলল ,”বাংলাদেশের যে জনসংখ্যা সেটা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়তো। তাতে বাংলাদেশের জনসংখ্যার চাপ কমতো আর ভারতের উত্তর – পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ অবাধে বাংলাদেশের সমুদ্রের বাণিজ্য জাহাজ ব্যবহার করতে পারতো।”

এই কথা শুনে ত্রিপুরার লোকটা বলল , ” আর আমাদেরকেও সমুদ্রে স্নান করতে হাজার মাইল ঘুরে কলকাতা অথবা দক্ষিণ ভারতে যেতে হতো না। “

আমি বললাম , ” সেটা তো এখন বলে লাভ নাই। “

দিদি : – কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো সমস্যা নাই।

আমি : – মানে ?

দিদি : – মানে আবার কী ? আমরা স্বপ্ন দেখি এই ভারতের সঙ্গে একদিন বাংলাদেশ যুক্ত হয়ে নতুন একটা দেশ হবে। আর রবি ঠাকুর , বঙ্কিমচন্দ্র , শরৎচন্দ্র , নেতাজি সুভাষ বসু আর হোসেন আহমদ মাদানীর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে।

আমি : – কিন্তু উনারা সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন বৃটিশ আমলে। এই স্বপ্ন এখন দেখে লাভ আছে ?

দিদি : – স্বপ্ন দেখতে সময় লাগে ? মানুষ যদি দুপুরে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারে , তাহলে বর্তমানে বৃটিশ ভারতের স্বপ্ন দেখতে সমস্যা কী ?

আমি আর কথা না বলে নিজের খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম।

🌟 আমার বুঝতে বাকী রইলো না যে , ওরা আসলে উগ্র জাতীয়তাবাদী ফেনাটিকের দল। এদের সঙ্গে তর্ক করা মানে নিজেকে ঝামেলায় জড়ানোর মতো বিষয় হবে। কে জানে , হয়তো র (RAW) এর কাছে মিথ্যা রিপোর্ট দিবে যে , বাংলাদেশ থেকে জেএমবির এক নেতা এসেছে ভারতে নাশকতা করার জন্য।

নয়তো সিবিআই (CBI) – কে মিথ্যা রিপোর্ট দিবে , বাংলাদেশের এক মাফিয়া ডন এসেছে , অবৈধ টাকা পাচার করার জন্য।

অথবা বিএসএফকে বলবে , বাংলাদেশ থেকে মিলিটারি এক অফিসার এসেছে ভারতে ষড়যন্ত্র করার জন্যে।

তাই দাঁত ব্রাশ করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

🌟 রাত তখন আড়াইটা। ঘুম ভাঙলো দরজায় টক টক আওয়াজ শুনে।

তারপর মেয়ের কণ্ঠে বলল , ” খুলেন , খুলেন । জরুরী কথা আছে। “

আমি ভাবলাম , রাত আড়াইটায় ভারতের গৌহাটি শহরের কোন মেয়ের জরুরী কথা থাকতে পারে আমার সঙ্গে ? আমি দরজা খুলে বললাম , ” কী ব্যাপার ? ”

মেয়েটা বলল , ” দিদি বলেছে। আপনাকে আমাদের দলে জড়ানোর জন্য। ”

আমি : – এতো রাতে ডাকার দরকার কী ? আমাকে কাল সকালে নাস্তার টেবিলে বললেই হতো।

মেয়েটা : – দিদি বলেছে , আপনাকে যদি দলে জড়াতে না পারি – তাহলে আমাকেই দল থেকে বাদ দিবে। তাই এসেছি আপনাকে দলে জড়ানোর জন্য।

আমি : – কাল সকালে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলবো। এখন রুমে যান।

মেয়েটা : – সমস্যা নাই। আমি কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে থার্ড ইয়ারে পড়ি। আমারও অনেক বন্ধু আছে। আপনিও আমার বন্ধু হলেন – এতে কোন সমস্যা নাই।

আমি : – আচ্ছা , এখন রুমে যান।

মেয়েটি এই কথা শুনে ওর রুমে চলে গেল।

🌟 আমি রুমে ভাবতে লাগলাম , শেষে র (RAW) এর খপ্পরে পড়লাম না তো ?

RAW – র মেয়েরা শুনেছি বসের হুকুম পালন করার জন্য সন্দেহজনক ব্যক্তিকে ধরতে অনেক ছলা – কলা করে।

কে জানে , হয়তো ঐ মেয়েটা অথবা ওদের দলটাই RAW – র এজেন্ট কি – না ?

তবে , ওরা যে উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং ওদের বিপক্ষে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সংযুক্তি নিয়ে তর্ক করার বিষয়টার কারণেই আমি ওদের টার্গেট হয়েছি।

🌟 পরের দিন সকালে খাবার টেবিলে আমাকে দিদি বলল , ” অয়ন্তী নিশ্চয় গত রাতে তোমাকে বলেছে ? তুমি আমার ছেলের বয়সী , তুমি করে বলছি , কিছু মনে করোনা। “

বুঝলাম , মেয়েটার নাম , অয়ন্তী। তাই আমি বললাম , ” বলেছে। “

দিদি : – আমরা এক ঘণ্টা পরে জোরহাট যাচ্ছি। তুমি আমাদের সঙ্গে যাচ্ছো। রেডি হয়ে নাও।

আমাকে দিদি এমনভাবে কথাটা বলল , যেন আমি ওদের সঙ্গে কলকাতা থেকেই এসেছি।

আমি বললাম , ” বাড়িতে বলে এসেছি , এক সপ্তাহ বেড়াবো। যদি বেশি সময় লাগে তাহলে বাবা – মা টেনশন করবে। “

দিদি : – কোন সমস্যা নাই। আমাদের মোবাইল দিয়ে তুমি বাড়িতে কথা বলবা। আর ভিসা অথবা পাসপোর্টের সমস্যা হলে আমরা সামলে নিবো।

তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রুমে এসে রেডি হলাম।

🌟 বাইরে এসে কেডিলাক গাড়ির সামনে দিদি বলল , তুমি অনিলের সঙ্গে গাড়িতে ওঠো। আর এখন থেকে অয়ন্তীর স্বামী হিসেবে মদন অভিনয় করবে। মানুষ যেন ওদের দেখে স্বামী – স্ত্রী মনে করে।

এতে অয়ন্তী যেন খুশিই হলো। দেখলাম সে হাতে শাঁখা , কপালে টিপ আর চুলের বেণীতে সিঁদুর দিয়ে একেবারে বৌ সেজেছে।

সে ওঠলো জানালার পাশে আর মদন ওর পাশে।

ড্রাইভার বলল , ” দিদি , গাড়ি ছাইড়্যা দিতাম (গাড়ি ছেড়ে দিবো) ? ”

দিদি বসেছে সামনের সিটে। বলল , ” ছেড়ে দে। ”

ড্রাইভার গাড়ি ছাড়লো। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম , ” কী ব্যাপার , আপনি আসামের মানুষ হয়ে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছেন ? ”

সে বলল , ” হ ম্যালা দিন আমি মমিসিং , শেরফুর , গাজীফুর কাম হরছি (হ্যাঁ , অনেক দিন আমি ময়মনসিংহ , শেরপুর আর গাজীপুরে কাজ করেছি)।

সে যে কথা বলল , তা এমন ✒

সে পড়তো আসাম ইউনিভার্সিটিতে। কিন্তু কোন একটা বিশেষ কারণে বাংলাদেশে দশ বছর শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন স্হানে কাজ করেছে ।

বিষয়টা সত্যিই আমার কাছে অবাক করার মতোই হলো।

🌟 জোরহাট গেলে দিদি বলল , ” আসলে আমরা যাচ্ছি টিনসুখিয়া ডিস্ট্রিক্টে। তুমি আবার ঝামেলা করবানা। ”

ততক্ষণে অয়ন্তী মদনের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে – যেভাবে বৌ জামাইয়ের কাঁধে ঘুমায়।

🌟 জোরহাট পার হওয়ার পরে বিএসএফের চেক পোস্টে থামতে হলো। এক জওয়ান জিজ্ঞেস করাতে দিদি বলল , কিছুদিন হলো ওর ভাই পোর (মানে মদনের) বিয়ে হয়েছে , এখন হানিমুনের জন্য অরুণাচল যাচ্ছে।

এই কথা শুনে আমাদেরকে জওয়ান লোকটা যেতে দিলো।

দিদিকে বললাম , ” দিদি , কী বলছেন ? অরুণাচলে তো প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। আমরা তো শীতের কাপড় আনি নি।”

দিদি : – আমরা অরুণাচলে যাচ্ছি না। এখন থেকে তুমি প্রশ্ন কম করবা। কিন্তু আমার কথা মতো কাজ করবা। রাতুল (ড্রাইভারের নাম) গোপন বাক্সের ডালাটা খুলে দে।

অমনি রাতুল ড্রাইভার ছোট একটা বোতামে চাপ দিতেই একটা হাইড্রোলিক মেশিনের শব্দ হলো আর অমনি আমাদের বসা সিটটা উপরে উঠতে লাগলো। প্রায় এক ফুট উঠার পরে সিটটা থামলে আমার অপর পাশের ত্রিপুরার লোকটাকে দিদি বলল , ” অনিল , শিখিয়ে দে। ‌”

অনিল সিটের নীচ থেকে একটা শটগান , একটা পিস্তল আর একটা স্নাইপার রাইফেল বের করলো। আর দিদি বলল , ” রকেট লাঞ্চারটা পরে। ”

আর অমনি রাতুল আবার সুইচে চাপ দিতেই সিট আগের অবস্থায় স্হাপিত হলো।

অয়ন্তী জেগে বলল , ” দিদি , পিস্তল , রাইফেল আর বুলেট তোমরা দেখো। আমি ঘুমাবো। ” এই বলে মদনের কাঁধে সে মাথা রেখে আবারও ঘুমাতে লাগলো।

গাড়ির একদিকে স্বামী – স্ত্রীর অভিনয় আর অন্যপাশে পিস্তল , শটগান আর রাইফেল – সত্যিই এক অদ্ভুত পরিস্থিতি।

🌟 আধা ঘণ্টার মধ্যেই পিস্তল , রাইফেল আর শটগান খোলা , লোড , আনলোড , সেফটি কেচ অন – অফ করা শিখে নিলাম।

আগে মনে করতাম , আগ্নেয়াস্ত্র না জানি কী জিনিস ? আর এখন মনে হচ্ছে মামুলি বিষয়। কতগুলো স্প্রিং আর স্ক্রুর সেটিংস। আর বিশেষভাবে তৈরি নল (বেরেল) ঘোড়া (ট্রিগার) আর গুলি বিস্ফোরণের খোল (চেম্বার) – এই হলো আগ্নেয়াস্ত্র। বাকী কাজটা বুলেটের কারিগরি আর শুটারের দক্ষতার উপর নির্ভর করে।

পৃথিবীর সকল আগ্নেয়াস্ত্রের ক্ষেত্রে এই ফর্মুলাই প্রযোজ্য। তবে রকেট লাঞ্চারে একটু ভিন্ন রকমের কারিগরি প্রয়োগ করা হয়।

ধ্যাৎ! এগুলোর জন্যই আবার মানুষ চোরাকাবার করে।

🌟 আসলে ব্যাপার হচ্ছে কী ? আসামে গিয়ে আমি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গবেষণা করে বুঝলাম ✒

পুলিশ – সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র দেখে অন্য মানুষেরাও চালাতে চায়। কিন্তু পায় না বলে রাগ আর জিদের বশে অবৈধ অস্ত্র আমদানি করে।

আবার অনেকেই ব্যক্তিগত শত্রুতা চরিতার্থ করার জন্য অস্ত্র ক্রয় করে। দেশে আইন ও বিচার ব্যবস্থা থাকতে , নিজের ব্যক্তিগত বিষয় সমাধানের জন্য কখনই অবৈধ অস্ত্র আমদানি করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।


🌟 দিদি বলল , ” কাজের সময় অস্ত্র চালাতে পারবা তো ? ”

আমি : – আমি কেন অস্ত্র চালাবো ?

দিদি : – সেটা জানিনা। তবে আমরা যেখানে যাচ্ছি সেখানে অস্ত্র চালানোর দরকার হতে পারে।

আমি : – কোথায় যাচ্ছেন ?

দিদি : – কাচিন প্রদেশ।

আমি : – সেটা তো মায়ানমারের উত্তরে দুর্গম এলাকায়।

দিদি : – আমরা সেখানেই যাচ্ছি খনি থেকে রুবি পাথর আনার জন্য।

আমি : – মায়ানমারের গভমেন্ট সেই সুযোগ দিবে না।

দিদি : – ঐ খনিতে যারা কাজ করে ওরাই কিছু কিছু রুবি পাথর চুরি করে স্হানীয় চোরাকারবারিদের কাছে বিক্রি করে – আমরা ওদের কাছ থেকেই কিনবো।

আমি : – এই কাজের জন্যই কি রাতে অয়ন্তীকে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন ?

দিদি : – বড় কাজ করলে এমন একটা কিছু করাই লাগে। এখন আমরা রুবি আনবো।

আমি : – আমি নেমে যাচ্ছি।

দিদি : – তোমাকে নামতে দিবোনা। বরং বন্দুক দিয়ে তোমাকে জিম্মি করে আমাদের সঙ্গে নিবো।

আমি আর তর্ক বাড়ালাম না। এমনিতেই ওরা চায় বাংলাদেশকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করতে – সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে কাচিন প্রদেশ থেকে রুবি পাথর চোরাই করে আনার জন্য।

আমার তো সন্দেহ হওয়া শুরু হয়েছে , ওদের মন বাস্তব জগতে আছে , নাকি কল্পনার জগতে আটকে গেছে ?

🌟 দিদির আশা পূরণ হয়নি। কেননা , ড্রাইভার রাতুলই দিদির সঙ্গে গাদ্দারি করলো।

মায়ানমারের সীমান্তে গিয়ে রাতুল বলল , ” রুবি – টুবি কিছুই না। আসলে আমি আপনাদেরকে কিডন্যাপ করেছি। ”

তারপরে রাতুল হাতে একটা পিস্তল নিয়ে বলল , ” সকলেই গাড়ি থেকে নাম্। নয়তো গুলি করে মাথার খুলি উড়িয়ে দিবো। ”

আমরা সকলেই গাড়ি থেকে নামলাম। এরপরে রাতুল আবার সেই সুইচটাতে একটা চাপ দিলো। আর হাইড্রোলিক মেশিন আগের মতোই চালু হলো। অনিলকে রাতুল বলল , ” অস্ত্রগুলো তোরা বের করে আমার সঙ্গে আয়। ” (চলবে ……)

One thought on “184) (গল্প – 1) আসামের জঙ্গলে (IN THE FOREST OF ASSAM)।-Written by Junayed Ashrafur Rahman

Leave a comment